প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১:২৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ৭:১৬ পি.এম
গণতান্ত্রিক সমাজে শক্তিশালী প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে: তারেক রহমান
বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস ২০২৫ উপলক্ষে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গ করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এবং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বিএনপি নেতা গণতন্ত্রকে একটি সার্বজনীন মূল্যবোধ এবং জনগণের ইচ্ছার অবাধ প্রকাশের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, 'সত্যিকারের গণতন্ত্র জীবনের সব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক-পূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।'
বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, একটি গণতান্ত্রিক সমাজে শক্তিশালী প্রতিবাদ জানানোর উপযোগী পরিবেশ থাকে।
পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় বাকশালের করালগ্রাস থেকে জাতিকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের চিরন্তন দর্শন ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূল প্রেরণা ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র।'
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং বারবার স্বৈরাচারী আক্রমণ সত্ত্বেও সেই সংগ্রামকে অব্যাহত রেখেছেন।
তারেক রহমান বলেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বারবার স্বৈরশাসনের আঘাত এসেছে-রাজনৈতিক দল ও সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষমতালিপ্সু গোষ্ঠী অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকার লক্ষ্যে ভয়ভীতি ও কর্তৃত্ববাদী পরিবেশ তৈরি করেছে।'
তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে 'ফ্যাসিবাদী সরকার' বলে আখ্যায়িত করেন এবং গত দেড় দশকে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করায় দলটির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।
এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য 'কর্মে লিঙ্গসমতা অর্জন' উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র সব লিঙ্গের মানুষের জন্য সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত করে, যা একটি মৌলিক মানবাধিকার।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে শক্তিশালী প্রতিবাদের পরিবেশ থাকে, যা লিঙ্গ বিভাজনকে গভীরতর হতে দেয় না এবং সমান অধিকারের পথে অগ্রগতি নিশ্চিত করে।'
ভয়াবহ স্বৈরাচারের পতন ঘটানো ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি সবাইকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করবে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত